করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। এ কারণে তার বাইপ্যাপ সাপোর্ট, অর্থাৎ নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কলকাতার বেলভিউ নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেখানে ভর্তি ৮৫ বছর বয়সী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
বেলভিউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগের মতো করোনাভাইরাসের চিকিৎসা চলছে সৌমিত্রের। কয়েক দিন ধরে যে ওষুধ দেয়া হচ্ছিল তা অপরিবর্তিত রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাকে দুবার প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে। তার শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের তারতম্য রয়েছে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ইকো, ইসিজি ও রক্ত পরীক্ষা হয়েছে। এমআরআই করা হয়েছে নতুন করে। বুধবার (১৪ অক্টোবর) আবারও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে। সঙ্কট না কাটলেও তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তিনি চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সৌমিত্রের মেয়ে পৌলমী বসু বলেন, ‘বাবা আগের চেয়ে ভালো। অবস্থা খানিকটা স্থিতিশীল। ১ শতাংশ হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আজ সকালে বাই-প্যাপ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে বাবাকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখার কথা ভাবছেন না চিকিৎসকরা।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে গত মঙ্গলবার বেলভিউ নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। গত শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
সোমবার (১২ অক্টোবর) হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সৌমিত্রের প্রস্টেট ক্যান্সার নতুন করে তার ফুসফুস ও মস্তিষ্কে ছড়িয়েছে পড়েছে। মূত্রথলিতেও সংক্রমণ হয়েছে। এরপরই সৌমিত্রকে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।
নুসরাত কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত