যাদের হৃদয়ে আল্লাহর ভয় থাকে, তারা কখনো বিপথগামী হয় না। আল্লাহ তাআলাই মুমিন বান্দাকে সব বিপদ-আপদ থেকে হেফাজত করেন। আল্লাহর হেফাজতে থাকতে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ গ্রহণই যথেষ্ট।
হাদিসে এসেছে- হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পেছনে (আরোহী অবস্থায়) ছিলাম। তিনি বললেন, হে বালক! আমি তোমাকে কিছু কালেমা শিখিয়ে দিচ্ছি। (তাহলো)-
- আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধানের হেফাজত করবে। তাহলে তিনি তোমার হেফাজত করবেন।
- আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির ব্যাপারে সর্বদা খেয়াল রাখবে, তাহলে তাঁকে তুমি তোমার (সমস্যার সমাধানে) সামনে পাবে।
- যখন সাহায্যের প্রয়োজন হবে, তখন আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চাইবে।
(কারণ, গোটা দুনিয়ার) সব লোক যদি তোমার উপকার করতে একত্রিত হয়, তবে আল্লাহ তাআলা তোমার তকদিরে যা লিখে রেখেছেন; সে টুকু ছাড়া অন্য কোনো উপকার কেউই করতে পারবে না।
আর সব লোক যদি একত্রিত হয়ে তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাতেও আল্লাহ তাআলা তোমার তকদিরে যা নির্ধারণ করে রেখেছেন, তাছাড়া কোনো ক্ষতিই করতে পারবে না।
কেননা কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, কাগজগুলো শুকিয়ে গেছে। (তিরমিজি)
সুতরাং কোনো বিষয়ে কারো মুখাপেক্ষী হওয়ার সুযোগ নেই। সাহায্য চাইতে হবে শুধুই আল্লাহর কাছে। তিনিই মানুষকে সব সময় নিরাপত্তা দিতে পারেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। কুরআনের বিধানের হেফাজত ও নিজেদের জীবনে তা বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
নুসরাত কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত