আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না মন্তব্য করে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আজকের ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে জাতির সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে। তারা যা দেখাচ্ছে তা হাস্যকর ও অগ্রহণযোগ্য।’
শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শাহাদাত বলেন, ভোটারবিহীন একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন ছাড়া এই সরকার জাতিকে কিছুই দিতে পারেনি। শুধু গুম, খুন, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, মামলা ও হামলা এই সরকারের অলংকার হিসেবে পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জেল জুলুম সহ্য করতে করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জেলের ভয় বিএনপি নেতাকর্মীরা পায় না।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে প্রিয় দেশ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না থাকায় দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। ফলে ধর্ষকরা বার বার ধর্ষণ করার সাহস পাচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. বেলালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভিপি নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী, বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ জাকারিয়া সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম।
আরও উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হাই, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রোকসানা বেগম মাদু, বিএনপি নেতা অ্যাড. আবু তাহের, মকবুল হোসেন, ইসমাঈল, ফোরকান, নুরুন্নবী, মিলন, মো. আজগর, মো. খোরশেদ, মো. আলমগীরসহ থানা, ওয়ার্ড ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
নুসরাত কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত