পাকিস্তানের করাচিতে বিরোধী পক্ষের হাজার হাজার কর্মী ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, ২০১৮ সালের কারচুপির নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্ষমতায় বসেছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার ইমরান খান।
সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করার জন্য গত মাসে নয়টি প্রধান বিরোধী দল ‘পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট’ (পিডিএম) নামের একটি প্লাটফর্ম গড়ে তোলে। গত তিন দিনের মধ্যে তারা দ্বিতীয়বারের মতো বিক্ষোভ করলো।
ক্ষমতায় থেকে বিভিন্নভাবে সমালোচিত হচ্ছেন ইমরান খান। অভিযোগ উঠেছে, তিনি গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করেছেন, ভিন্নমতের মানুষ, সমালোচক ও বিরোধীরা বিভিন্নভাবে বাধার মুখে পড়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন।
তিন বারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের কন্যা ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী মরিয়ম নওয়াজ সমাবেশে বলেন, “আপনি মানুষের কাছ থেকে চাকরি ছিনিয়ে নিয়েছেন। আপনার আমলে মানুষ দুই বেলা দুমুঠো খাবারও পায় না। ”
সোমবার ভোরের দিকে পুলিশ তার স্বামীকে ছিনিয়ে নিয়েছিল।
ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের অভিযোগের পরে মরিয়ম নওয়াজের স্বামী মুহাম্মদ সাফদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সমাধিতে রাজনৈতিক স্লোগান তুলেছিলেন।
নওয়াজ সোমবার সকালে টুইট করেন, “আমি করাচিতে যে হোটেলে আছি, সেখানে পুলিশ এসে আমার ঘরের দরজা ভেঙে ক্যাপ্টেন সাফদারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ”
রোববার সমাবেশে বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলওয়াল ভুট্টোও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “আমাদের কৃষকদের ঘরে ক্ষুধা আছে... আমাদের যুবকরা হতাশ। ”
পাকিস্তানে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালে।
নুসরাত কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত