করোনা পরিস্থিতিতে এবার ভর্তি পরীক্ষার প্রচলিত নিয়ম থেকে সরে এলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ডিনস কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বড় কলেজগুলোতে এবারের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।
আগের চেয়ে মূল্যায়নে নম্বর কমানোর তথ্য জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, পরীক্ষার মানের প্রশ্নে আপস করা হচ্ছে না বলেই, স্ব-স্ব কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন ঢাবি শিক্ষকরা।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধই রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাবলিক পরীক্ষাগুলো একের পর এক বাতিলের সিদ্ধান্তের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের নতুন উৎকণ্ঠা এখন উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে।
এরই মধ্যে অনলাইন মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়ে দেশের লাখো শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার ডিনস কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সরাসরিই নেয়া হবে। সেই বিষয়টি নিয়ে অনেকটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সময় সংবাদকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য জানান, আট বিভাগীয় শহরে হবে ভর্তি পরীক্ষা। সেসব শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হবে কেন্দ্র। পরীক্ষার হলে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আমাদের প্রধান প্রধান যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে বিভাগীয় শহরে সেখানে সেন্টার করা হবে।
সার্বিক বিবেচনায় এবার পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে আনার কথাও জানান অধ্যাপক ড. সামাদ।
তিনি আরো বলেন, আগে ছিল ১২০ নম্বর, সেই ২০ নম্বর কমিয়ে আনা হবে। তবে, ঢাবির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ায় শিক্ষার্থীদের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠার সুযোগ নেই বলে জানান নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের শিক্ষক।
ঢাবি বিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিলে নিশ্চয়ই মেধার স্বাক্ষর পাওয়া গেছে।
এই খবরে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এইচএসসির ফল প্রকাশ হয়ে গেলে, শিগগিরই ৫টি ইউনিটে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হবে।
নুসরাত কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত