এবার মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা হবে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নির্ধারিত ছুটি থাকার কারণে ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস প্রণয়ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
আগামী নভেম্বর থেকে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে। নভেম্বর-ডিসেম্বর এ দুই মাসের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করা হবে। সেটের ভিত্তিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে। আগামী জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা নতুন ক্লাসে ভর্তি হতে পারবে।
তবে মূল্যায়নে কোনো শিক্ষার্থীর যদি বিশেষ দুর্বলতা থেকে থাকে সেটি পরবর্তী ক্লাসে বিশেষ বিবেচনায় রাখা হবে। এবং তার দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন ক্লাস শিক্ষকরা। সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া থাকবে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দেওয়া হবে। তারা অভিভাবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে সপ্তাহভিত্তিক অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এনসিটিবি প্রণয়ন করা সিলেবাস থেকে চারটি অ্যাসাইনমেন্ট এক মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এ সিলেবাসটি এনটিসিটির মাধ্যমে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বা খাতায় লিখে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এর বাইরে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের বাসার কাজ দেওয়া যাবে না। চার সপ্তাহে শুধু চারটি অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা পৌঁছে দেবে। সেটা অনলাইনেও করা যাবে অথবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানে গিয়েও জমা দেওয়া যাবে।
দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, ইবতেদায়ি সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
টানা ৭ মাস ধরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও স্কুলগুলোর মূল্যায়নেই শিক্ষার্থীরা পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবেন বলে শিক্ষা বোর্ডগুলো জানিয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
নুসরাত কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত